সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট
১৯৮২ সাল এর শেষের দিকে যাত্রা শুরু হয় সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের। নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখে সন্ধানী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে আসা ডাঃ শহীদুল্লাহ, ডাঃ আলতাফ ও ডাঃ আজাদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান পুরুষ ছাত্রাবাসের ৩২/সি (ডাঃ মুকিত শফিউল আলম টুকু এর রুম)-তে ডাঃ মুকিত শফিউল আলম টুকু, ডাঃ তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিক জামাল, ডাঃ রিন্টু, ডাঃ নিয়ামুল, ডাঃ এনাম, ডাঃ সব্বির, ডাঃ সাখাওয়াৎ, ডাঃ ওবায়েদ, ডাঃ সালাম প্রমূখের সাথে সন্ধানীর কার্যক্রম আলোচনা করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ তখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গরীব ও অসহায় রোগীদের সাহায্যার্থে ধমনী’ নামের একটি সংগঠন কাজ করছিল। কিন্তু এ সংগঠনের সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য না থাকায় সে সভায় উপস্থিত সবার মনে “সন্ধানী” নামের আন্দোলনটি নতুন দিগন্তের স্বপ্ন এঁকে দেয়। কলেজে ”সন্ধানী’র ইউনিট গঠনের ব্যাপারে সবাই একমত হন। ডাঃ মুকিত শফিউল আলম টুকু এক্ষেত্রে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। তিনি এবং আরো কয়েকজন উদ্যমী তরুণের আগ্রহে ডাঃ তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামালকে আহবায়ক করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা।
পরের দিন অর্থাৎ ২৭ তারিখে নাজমুল হক আসপার-কে সভাপতি এবং তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামালকে সাধারণ সম্পাদক করে কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। সন্ধানী চ.মে.ক. ইউনিটের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় একই বছর ২রা ডিসেম্বর স্বেচছায় রক্ত দান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ।
১৯৮৯ সালে শ্রীলংকার মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের সফল পথ প্রদর্শক ডাঃ হাডসন সিলভার বাংলাদেশে আগমনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামেও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি গঠিত হয়।
১৯৯৪-৯৫ কার্যবর্ষে সন্ধানী চ,মে,ক এর জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। এই বৎসর সন্ধানীতে ইনার হুইল ক্লাবের সহযোগিতায় প্রথম স্ক্রিনিং সিস্টেমের প্রচলন করা হয়। এর ফলে সন্ধানী কর্তৃক সরবরাহকৃত রক্ত বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা বহন করে। একই বৎসর সন্ধানীর সংগ্রহে সংযুক্ত হয় আরো একটি অতি প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক আবিস্কার কম্পিউটার। ফলে সন্ধানীর প্রতিটি কাজ এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের ছোঁয়ায় দ্রুততর হয়ে পড়ে।
বর্তমান কর্মসূচীসমুহঃ
- ১।স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী
- ২। টিকাদান কর্মসূচীঃ বর্তমানে সন্ধানীতে নিচের টিকাসমূহ পাওয়া যাচ্ছে।* হেপাটাইটিস -বি *টাইফয়েড *জরায়ুমুখ ক্যান্সার।
- ৪।লাইব্রেরীঃ বর্তমান লাইব্রেরীতে সন্ধানীয়ানদের জন্য ৮৭ টি বই রয়েছে।
- ৫।থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক কর্মসূচীঃ থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য নিয়মিত রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
- ৬।বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং, ভ্রাম্যমান রক্তদান কর্মসূচী, প্রচারণা ও মোটিভেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
- ৭। অপরাজেয় বাংলার সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের সাথে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
- ৮। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান।
- ৯।বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কর্মসূচী- নিজস্ব ইউনিটে বর্ণাঢ্য র্যালী, শহরের বিভিন্ন স্থানে রক্তদান কর্মসূচী, মোটিভেশন ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
- ১০। সংবাদপত্র বা অন্যান্য প্রকাশনায় সন্ধানী বিষয়ক সংবাদ, প্রবন্ধ বা শ্লোগান প্রকাশ।