সন্ধানী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ইউনিট
সাল ২০১০। সদ্য প্রতিষ্ঠিত আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাঠ নিচ্ছে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। স্বপ্ন তাদের মানব সেবার কল্যানের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলার। হাসপাতালের অসহায় স্বজনেরা এক ব্যাগ রক্তের চাহিদা নিয়ে যখন সাহায্য চাইত, তখনই তাদের আবেদনে সাড়া দিত অনেক নিবেদিতপ্রাণ ছাত্র-ছাত্রী। কখনো নিজের শরীর থেকে কখনো বা বন্ধু-বান্ধব বা ছোট ভাইবোনদের কাছ থেকে তাদের রক্তের চাহিদা পূরণ হত। কিন্তু ক্রমেই সবাই বুঝতে পারল হাসপাতালের নিত্যদিনের বিপুল রক্তের চাহিদা তাদের একার পক্ষে পূরণ সম্ভব নয়। প্রয়োজন পড়ল একটি কার্যকরী ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার, রক্তদানের মাধ্যমে মানবসেবার দাবিকে ছড়িয়ে দেয়ার, সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার। সেই সাথে সবাই খোঁজ পেল এমন এক সংগঠনের নাম, যার আছে দেশব্যাপী পরিচিতি। যা অন্যান্য মেডিকেল কলেজে অসহায় মানুষের আস্থার প্রতীক। সংগঠনটি হল “সন্ধানী”।
প্রথম ব্যাচের কিছু নিবেদিতপ্রাণ তরুণ-তরুণী কথা বলল শিক্ষকদের সাথে। অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ আব্দুছ ছালাম অনুমতি দিলেন এগিয়া যাওয়ার। একই সাথে কথা হল দ্বিতীয় ব্যাচের সবার সাথে। সবাই মিলে আবেদন করল সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের নিকট। কিন্তু “সন্ধানী”করাটা খুব সহজ নয়। এর রয়েছে সুস্পষ্ট নীতিমালা, অনঢ় সংবিধান। তাই কিছুটা দীর্ঘসূত্রিতার তৈরী হল, অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ল। উপদেষ্টা পারভেজ ভাই, আমিনুল ভাই, তৎকালীন সভাপতি জাভেদ ভাই, সাধারন সম্পাদক শুভ ভাই, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সভাপতি সারওয়ার ভাই আশ্বাস দিলেন। ‘প্রস্তাবিত’ সন্ধানী নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ ইউনিট নামে আমাদের প্রারম্ভিক কাজ শুরু হল। সেই সাথে আমরা থাকলাম কেন্দ্রীয় পরিষদের পর্যবেক্ষণ ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ইউনিটের তত্ত্বাবধানে। অনেকগুলি সফল ব্লাড গ্রুপিং ও রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিলাম। অবশেষে এল সেই শুভ দিন। ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মোঃ মিলকান মাহমুদ কে আহবায়ক ও আবদুল্লাহ আল মামুন রায়হানকে যুগ্ম-আহবায়ক করে গঠিত হল আমাদের আহ্বায়ক কমিটি। পূর্ণতা পেল আমাদের প্রতীক্ষার। সেই সাথে শুরু হল মানবসেবার পথে আমাদের দীর্ঘ পথচলার।