সন্ধানী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ইউনিট
১৯৮০ সাল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ সন্ধানী ইতোমধ্যে তৃতীয় বৎসরে পা দিয়েছে। সন্ধানীর সেবামূলক কার্যক্রম তখন সারাদেশে জনগণের মাঝে বেশ আস্থা অর্জন করেছে। জুবায়ের আহমেদ, ফরিদউদ্দিন ও আনিসুর রহমান মন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজের তৎকালীন তৃতীয় বর্ষের এই তিনজন ছাত্র সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকা সন্ধানীর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং সন্ধানীর কার্যক্রম পর্যালোচনা করন।
১৯৮১ সালের ৩ জানুয়ারি এই পাঁচজন ছাত্র মেইন হোস্টেলের ৮১ নম্বর কক্ষে প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেন- সন্ধানী প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে এই সভায় সিদ্ধান্ত অনুসারে ৭ জানুয়ারি বিকেল চারটায় কলেজ চত্বরের নারিকেল তলায় এক সাধারণ সভার আহবান করা হয়। সেদিনের সভায় তোফাজ্জল হক বাবুলকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠিত হয়। রাজশাহীর অঞ্চলে স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলন গড়ে তুলবার সূচনাপর্ব হিসেবে প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ১৩ মে, ১৯৮১ তারিখে। এ বৎসর সন্ধানী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ইউনিট কিছুটা সাংগঠনিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। কলেজের একদল ছাত্র সন্ধানীল রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দিহান ছিল। তারা মনে করতেন সন্ধানী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশে কোন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন। সেইজন্য তারা সন্ধানীল অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করার জন্য, “ডোনারস এসোসিয়েশন” নামে একটি সংগঠনের জন্ম দেয়। কিন্তু সন্ধানী তার কর্মতৎপরতায় প্রমাণ করে এটি একটি অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই সেই সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। ফলশ্রুতিতে জোনারস এসোসিয়েশন বিলুপ্তি ঘটে এবং তারা সন্ধানীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে।
আহবায়ক কমিটি ৩ মার্চ ৮২ তে মিলিত হয় প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী একটি কমিটি সংগঠনের উদ্দেশ্যে। ১২ এপ্রিল ১৯৮৮ তে হাসপাতাল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষ সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির রাজশাহী জোনকে বরাদ্দ করে। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অধ্যাপক নাজিমুদ্দিন আহমেদ এর কাছে সন্ধানী কৃতজ্ঞ থাকবে।