সন্ধানী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ইউনিট
৬ মে ২০০৬ইং দেশের ১৪তম সরকারী মেডিকেল হিসেবে যাত্রা শুরু করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ। চিন্তা করছিলাম কী করে গরীব, অসহায়, দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। হঠাৎ একদিন বি কে-১ ব্যাচের সাব্বিরের সাথে আলাপ হলো, আমাদের মেডিকেলে সন্ধানী প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে। ব্যস, আর দেরী করে লাভ কি? ছুটলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আমি, সাব্বির, রিয়াদ ডিএমসিইউতে অপেক্ষা করছি। হঠাৎ একজন হন্তদন্ত হয়ে রুমে প্রবেশ করলেন। তিনি আমাদের অতি প্রিয় সদা হাস্যোজ্জ্বল তাপস ভাই (তখনকার ডিএমসিইউ প্রেসিডেন্ট)। তাপস ভাই এবং অভি ভাই এর সাথে সন্ধানীর উৎপত্তি, কার্যক্রম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা হল। ভাইয়ারা আমাদের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সূক্ষ্মভাবে ধারণা দেন।
এর মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা অংশগ্রহণ করতে থাকলাম। ১৮ মে ২০০৭ তাপস ভাই সেন্ট্রাল মিটিং এ আমাদের ইউনিট অনুমোদনের জন্য আবেদনপত্র জমা দিলেন। বরিশাল ২৬তম ষান্মাসিক সভায় আমাদের ইউনিট থেকে হাবিব ও মেহেদী অংশগ্রহণ করল। ওরা অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকল কখন আমদের এজেন্ডা হাউজে উঠবে। অবশেষে অনেক আলোচনার পর ২৩ জুন ভোর সাড়ে ৪টায় আমাদের ইউনিটের অনুমোদনপত্র ঘোষিত হল।
২২.০৮.২০০৭ইং তৎকালীন সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট খিজির ভাই, সেন্ট্রাল জিএস পলাশ ভাই এবং সজীব ভাই এবং সজীব ভাই আমাদের অস্থায়ী কমিটি করে দিলেন। সাব্বির আহবায়ক আর আমি যুগ্ম আহবায়ক। এরপর নানা প্রতিকূলতা, অর্থাভাবের মাঝেও আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলাম। ২৭.০৩.২০০৮ইং তারিখে অভি ভাই, ডিএমসিইউ এর জিএস হাসান ভাই, বিএমসিইউ এর জিএস মুঈন ভাই, বিএমসিইউ এর মারুফ ভাই আমাদের কমিটি করতে আসেন। আমাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ইউনিটের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি, সাব্বিরকে সহ-সভাপতি, ইশতিয়াককে সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করা হল।
আমাদের ইউনিট নবপ্রতিষ্ঠিত হলেও এর মাঝে আছে অনেক সম্ভাবনা। কালের পরিক্রমায় অন্যান্য ইউনিটের মত আমাদের ইউনিটও সমৃদ্ধশালী হবে এই প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছি আমরা সকলে, কাঁধে মিলিয়ে কাঁধ।